সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাঙ্গুয়ার হাওরে সংরক্ষিত জলাশয়ে খাস কালেকশনের নামে মৎস্য আহরণ! ৯০ লক্ষাধিক টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ সুনামগঞ্জে বাণিজ্যমেলা শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকের ৭২ বছরে পদার্পণ উদযাপিত দোয়ারাবাজারে খাস জমি দখলের হিড়িক, গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্থাপনা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির নির্বাচন আজ তকমার রাজনীতি হালুয়ারগাঁওয়ে নিরীহ পরিবারের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ৩ মল্লিকপুরে চিকিৎসকের ওপউর হামলা, ফার্মেসিসহ ৩ প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬ সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন পিআইসি গঠন হয়নি ২৬০টি প্রকল্পে, কাজ শুরু হয়নি ৯৮ শতাংশ বাঁধে দেখার কেউ নেই : মৌলা নদী থেকে অবাধে লুট হচ্ছে বালু ৯ দিনব্যাপী সেবাইত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সকল অন্যায়ের বিচার করা হবে : ডা. জাহিদ হোসেন ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাত্রা করবেন খালেদা জিয়া বৈষম্যহীন দেশ গড়তে মেধার মূল্যায়ন করতে হবে হাওরের পানি নিষ্কাশনে ধীরগতি, বিপাকে কৃষক জামালগঞ্জে সারদা সংঘের মঙ্গল শোভাযাত্রা

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

  • আপলোড সময় : ১৪-১২-২০২৪ ০৮:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-১২-২০২৪ ০৮:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। একাত্তরে ৩০ লাখ লোক শহীদ হন। তাদের মধ্যে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তারা শহীদ হন এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার সহধর্মিনী বাসন্তী গুহঠাকুরতা তার একটি গ্রন্থে লিখেছেন, নীল নকশার রেখা অংকন শুরু হয়েছিল একাত্তরের পয়লা মার্চের আগেই সত্তরের ১৭ ডিসেম্বর গণভোট বা তারো অনেক আগে ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের সময় থেকেই, কিংবা বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের পরে। একাত্তরে তারা প্ল্যান করে যুদ্ধে নামে। যুদ্ধতো নয়, কেবল নিরস্ত্র মানুষ নিধন। প্রথমে ওদের এলোপাতাড়ি মারা, তারপর শহরে, গ্রামেগঞ্জে বেছে বেছে ধনী, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী নিধন করে নদীতে খালে ফেলে দেওয়া। অনেকে মনে করেন চরম বিপর্যয় আসন্ন, পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে - তখনই তারা সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে। তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে। তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে এভাবেই অন্ধকার করার পাঁয়তারা করেছিল। একাত্তরের সেই যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত অনেকের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যা¤পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত। মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা.আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
টাঙ্গুয়ার হাওরে সংরক্ষিত জলাশয়ে খাস কালেকশনের নামে মৎস্য আহরণ!

টাঙ্গুয়ার হাওরে সংরক্ষিত জলাশয়ে খাস কালেকশনের নামে মৎস্য আহরণ!